প্রথমেই বলে রাখা ভালো আমাদের ‘সাহিত্যের সন্ধানে পত্রিকা’ একটি পরিবারের মতন। এখানে আমরা সবাই এক বৃন্তে অনেক ফুল। এই পত্রিকার যাত্রাপথ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৫’ই এপ্রিল (১’লা বৈশাখ)।
পত্রিকাটি শুরু করেছিলাম আমি, কৌশিক দে – সম্পাদক । সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায়।
কিন্তু কথায় আছে , নিজে সঠিক থাকলে ঈশ্বর রাস্তা তৈরি করে দেন । সেই রাস্তা আমার’ও তৈরি হলো এবং ধীরে ধীরে আমার এই পত্রিকা ‘আমাদের’ পত্রিকা হয়ে উঠলো। মাঝে প্রচুর ঝড় বয়ে গেছে ,তবু’ও আমরা আজও একসাথে আছি। বর্তমানে এই পত্রিকার সদস্য সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।কলকাতা ছাড়িয়ে এই পত্রিকায় লেখা আসছে বাংলাদেশ , ওমান ,মাস্কাট প্রমুখ জায়গা থেকে। এর কারণ , আমাদের এই পত্রিকা লেখার মান বজায় রেখেছে এবং শুধু লেখকের নাম দেখেই লেখা নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে – যেহেতু এই পত্রিকা কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সাধনের হিত চরিতার্থ করতে আসেনি,তাই আমরা মুক্ত’ভাবে সাহিত্যকে নিয়ে ভাবতে পারি এই পত্রিকার মাধ্যমে।
এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশ হওয়ার পর যাঁরা তাঁদের কর্মনিষ্ঠা , সময় এবং সাহিত্যের জ্ঞানালংকার দিয়ে পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং যাঁদের হাত ধরে পত্রিকা বড় হলো তাঁরা হলেন –

পিনাকী বসু আমাদের পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা।পিনাকী বসুর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা এগারো। এছাড়াও বহু সংকলনে তার কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও নাটকে তার সঞ্চরণ প্রশংসিত। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখির পাশাপাশি পত্রিকা সম্পাদনার কাজ ও ভারত, বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকার ও সংগঠনের, আলংকারিক পদগুলিতে তিনি মনোনীত। ছোট বড় নানা সম্মাননা তার ঝুলিতে স্থান করে নিয়েছে।

ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্যে অনুরাগ। পিতৃপুরুষের লেখার ইতিহাস শুধুমাত্র বড়দের মুখে শোনা হ’লেও বাবার কবিতা মন টানত। ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রথম কবিতা লেখার হাতেখড়ি। পরবর্তীতে কমবেশি চলতে থাকে সাহিত্য-চর্চা। কবিতার বিভিন্ন ধারার সাথে গল্প, রম্যরচনা, অণুগল্প এসব লেখেন। বাংলা সাহিত্যে স্নাতক হ’য়ে, স্নাতকোত্তরে ভর্তি হবার ছমাস পর প্রথাগত শিক্ষায় ইতি টেনে হাতেকলমে কাপড়ে নকশার কাজের সাথে বিজ্ঞাপন জগতের নেশায় ‘অ্যাডভার্টাইজিং ম্যানেজমেন্ট’য়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। অবশেষে পারিবারিক ব্যবসায় মিশে গেলেও বন্ধ হয়নি লেখালেখির নেশা। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বাংলা পত্রপত্রিকায় মূলতঃ কবিতা প্রকাশ। ইতিপূর্বে পত্রিকা সম্পাদনা ও সহ-সম্পাদনা করেছেন।লেখার পাশাপাশি ছবি আঁকার শখ থাকলেও রং-তুলির সাথে বর্তমানে সংযোগ কম। কবিতা নিয়েই জীবনের শেষটুকু দেখতে চান।

অমৃতা রায় চৌধুরী। কোলকাতার উপকন্ঠে সোদপুর নিবাসী। বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী। সাহিত্যমনস্কা ও পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। কবিতা, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ লিখতে ভালোবাসেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই,”নীরবতা অনেক কথাই বলে যায়”। বর্তমানে “সাহিত্যের সন্ধানে” সাহিত্য পত্রিকার সহ-সম্পাদিকা ও “দশভুজা” সাহিত্য পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদিকা।।

সুস্মিতা.. সাহিত্যের সন্ধানের পত্রিকা পরিবারের সবথেকে ছোটো সদস্য.. এই ছোটো বয়সে দাদা’ভাই দিদি’ভাই ,এরা গুরুদায়িত্ব দিয়েছে.. নিতান্তই সাহিত্যের প্রতি ভালো লাগা থেকে পত্রিকার সাথে যুক্ত হওয়া.. সাহিত্যের সন্ধানে পত্রিকার কার্যবাহী সম্পাদক ‘এর দায়িত্বে আছে .. পত্রিকার অনুষ্ঠানে একনিষ্ঠ কর্মী .. কবিতা পড়তে ভালোবাসে .. গল্প পড়তে ভালোবাসে .. মাঝে মাঝে কবিতা পাঠ করার চেষ্টা করে ..
ব্লগ
- পুস্তক সমালোচনাআলোচক: গোবিন্দ মোদক গ্রন্থ: “ইন্দ্রাবতী, তুমি কেঁদো না, গর্জে ওঠো”।গ্রন্থকার: সৌমিত্র মজুমদার।প্রকাশক: দুর্বাসা প্রকাশনা, কলকাতা – 31 গ্রন্থটির বিষয়বস্তু: ছত্তিশগড় রাজ্যের বস্তর এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসীদের সংগ্রামের ঐতিহাসিক দলিল।আলোচক: গোবিন্দ মোদক। বিশ্বের সমস্ত শোষিত-বঞ্চিত-পীড়িত-অসহায় মানুষদেরকে উৎসর্গ করে আলোচ্য বইটি লেখা হয়েছে যারা যুগে যুগে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্বাধিকার রক্ষার তাগিদে গর্জে উঠেছেন এবংContinue reading “পুস্তক সমালোচনা”
- অখণ্ড আদর্শ ও সমবেত উপাসনা- সাম্প্রদায়িকতাদুষ্ট ধর্মসঙ্কটের আঁধারে এক নব আলোর দিশানিবন্ধ / সুভাষ কর লেখা শুরুর আগেই বলে রাখা দরকার, অনেক বিশ্লেষণের পর যারা পৃথিবীতে মানুষের যা কিছু না পাওয়া, যা কিছু বঞ্চনা, লাঞ্ছনা, মানুষের সব অপূর্ণতা, অন্যায়, হানাহানি, সব কালো অন্ধকার দিকের জন্যে ইতিমধ্যেই স্থিরভাবে ‘ধর্ম’ কেই চিহ্নিত করে ফেলেছেন, তাদের জন্যে এই লেখা নয়। ধর্মে আস্থা রাখা একজন মানুষ হিসেবে অনুরূপ হাজারো লাখোContinue reading “অখণ্ড আদর্শ ও সমবেত উপাসনা- সাম্প্রদায়িকতাদুষ্ট ধর্মসঙ্কটের আঁধারে এক নব আলোর দিশা”
- পত্রসাহিত্য / কিঞ্জল রায়চৌধুরী[একটি চিঠি – নিজেরই এক গল্পের নায়িকা প্রিয়দর্শিনীকে ] প্রিয়দর্শিনী, উপন্যাসটা এখনও মাঝপথে থমকে আছে দেখে হয়তো তোমার অভিযোগের শেষ নেই। লিখতে গিয়ে কলম অথবা কিপ্যাড স্পর্শ করলেই সেটা আমি টের পাই। তোমারই মতো অধীর অপেক্ষায় আছেন আরও অনেকেই। কেননা তারাও ইতিমধ্যে জেনেছেন আমার এই উপন্যাসটার কথা। তাদেরও ফেরানো যায়না আর! কিন্তু কী করি বলোতোContinue reading “পত্রসাহিত্য / কিঞ্জল রায়চৌধুরী”

আমাদের সদস্য পদের জন্য কোনো টাকা লাগে না। তবে আপনাকে একটি ফর্ম ভর্তি করতে হবে। সকল সদস্য একটি করে মানপত্র পাবেন ,আর একজন সদস্যের মূল উদ্দেশ্য হবে আমাদের পত্রিকার পরিবারের সংখ্যা বাড়ানো অর্থাৎ আপনাকেও অন্য সদস্য সংখ্যা নিয়ে আসতে হবে। তবে এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রায় প্রতি তিনমাস অন্তর আমাদের পত্রিকার সংখ্যা প্রকাশ হয় এবং তার সাথেই একটি অনুষ্ঠান আমরা করে থাকি কলকাতা কফি হাউসের বই চিত্র সভাঘরে। এই অনুষ্ঠানে থাকা একজন সদস্যের জন্য বাধ্যতামূলক। যদি বলেন নিয়ম তাহলে এই একটাই নিয়ম আমাদের রয়েছে।
আমাদের পত্রিকার সদস্যপদ পেতে নিচের লিংকে গিয়ে ফর্মটি ভর্তি করুন –https://www.cognitoforms.com/KaushikDey/সহতযরসনধনপতরকরসদসযপদরফরম

যোগাযোগ করুন
আপনার কি কিছু জানাবার আছে আমাদের কাছে ?
আমাদের ফোন করুন – ৮০১৭২২০৬৩১
আমাদের ফেইসবুক লিংক –
https://www.facebook.com/groups/713792776021615/media
আমাদের হোয়াটস আপ লিংক –
https://chat.whatsapp.com/GKDB9bjo8yU9yOoIiOkMNz
ইমেইল sahittersondhane@gmail.com অথবা আমাদের ফলো করুন :